Skip to content

Passport guideline a to z in bangla for e-passport application process in Bangladesh . পাসপোর্ট কিভাবে করব?

Notifications You must be signed in to change notification settings

arif98741/passport-application-process

Folders and files

NameName
Last commit message
Last commit date

Latest commit

 

History

15 Commits
 
 
 
 
 
 
 
 

Repository files navigation

এখন ঘরে বসেই পাসপোর্ট আবেদন করা যায়। ডকমেন্টটি তৈরি করা হয়েছে যারা নতুন কিংবা রিনিউ করতে চাচ্ছেন ই-পাসপোর্ট তাঁদের জন্য। আশা করি ডকুমেনটি আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিবে। এছাড়াও পুরো লিখাটি ডকুমেন্ আকারে ডাউনলোড করতে চাইলে ক্লিক করুন

পাসপোর্ট আবেদন পরিচিতি

বিদেশ যাত্রা, পড়াশোনা, ভ্রমণ, চিকিৎসা এবং নানা কারণে আমাদের পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়। পাসপোর্ট করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়নি এমন লোক খুজে পাওয়া কঠিন। বর্তমানে দালালের দৌরাত্ম্য অনেকাংশেই কমে গিয়েছে এবং এর ফলে ই-পাসপোর্ট হাত পাওয়াটা অনেক সহজতর হয়ে গিয়েছে। একটু চোখ কান খোলা রাখলে এবং কিছু তথ্য জানা থাকলে আপনি নিজেই করে ফেলতে পারবেন আপনার স্বপ্নের ই-পাসপোর্ট। এই লেখাতে পুরো e-passport করার প্রক্রিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ধৈর্য্য ধরে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ফলো করুন। আশা করি আপনি আপনার পাসপোর্ট করার যাত্রা শুরুর পূর্বে অনেক বিষয় সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা নিতে পারবেন।

পাসপোর্ট আবেদন একটি সহজতর কিন্তু দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সহজ মনে হলেও আপনাকে চোখ কান খোলা রেখে আবেদন প্রক্রিয়া করতে হবে। যেহেতু আবেদন প্রক্রিয়া অনেকগুলো ধাপ সম্পন্ন করে করতে হয়, তাই আবেদন করতে একটু সময় লাগবে এবং পুরো আবেদন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে সব তথ্যাদি সঠিকভাবে পুরণ করা আবশ্যক। কেননা তথ্যাদি ভুল হলে সেই আবেদন পুনরায় করতে অনেক কাঠখোড় পোড়াতে হবে এবং দৌড়াদৌড়ি করতে হবে। এতে করে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হবে এবং পরিশ্রম বৃথা যাবে।

অনলাইন আবেদন

মাত্র কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করে আপনি সহজে আবেদন করে ফেলতে পারেবেন। কোন কারণে আপনার বুঝতে সমস্যা হলে উচিৎ হবে নিকটস্ত দোকান থেকে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নেওয়া।

আবেদন সম্পর্কিত বিবেচ্য বিষয়ঃ

পাসপোর্ট আবেদনের সময় এবং আগে কি কি বিষয় মাথায় রাখতে হবে তাঁর একটা তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ

  1. আবেদনের প্রতিটি ধাপে তথ্যাবলি সঠিকভাবে পুরণ করুন। কোনভাবেই ভুল তথ্য প্রদান করা যাবে না।
  2. টেস্টিং করার উদ্দেশ্যেও কোনভাবে পাসপোর্ট আবেদন যাচ্ছেতাই ভাবে করে ফেলা যাবে না। এতে করে আপনার ডাটা সার্ভারে জমা থেকে যাবে এবং পরবর্তীতে আবেদন করতে গেলে সমস্যা ভোগ করতে হবে।
  3. ১৮ বছরের নিচের বাচ্চার ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদপত্র লাগবে এবং অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরমে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রের নাম্বার প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে বাবা এবং মায়ের NID অবশ্যই প্রদান করতে হবে।
  4. বিবাহিত হলে বৈবাহিক অবস্থা অবশ্যই married বাছাই করতে হবে। এক্ষেত্রে যদি married দেওয়া হয় তাহলে কাবিন নামার কপি এনরোলমেন্টের সময় জমা দিতে হবে। ডিভোর্সের ক্ষেত্রে একইভাবে তালাকনামা কপি প্রদান করতে হবে।
  5. নতুন পাসপোর্ট হলে I have no passport (3 no. option) বাছাই করতে হবে। একইভাবে পুরাতন কিংবা রিনিউ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে বাকি অপশনগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী বাছাই করতে হবে।
  6. পাসপোর্ট এর জন্য আপনি কতগুলো পাতা চান এবং কত বছরের জন্য নিতে চান সেটা সঠিকভাবে বাছাই করতে হবে। এর উপর ভিত্তি করে আপনার পাসপোর্ট ফি নির্ধারিত হবে। সুচিপত্রের মূল্য তালিকা অংশ থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পাসপোর্টের মূল্য তালিকা দেখে নিন।
  7. আবেদন করার সময় আপনার সঠিক সচল মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করুন। পাসপোর্ট সংক্রান্ত সকল আপডেট আপনার প্রদানকৃত ইমেইল এবং মোবাইলে প্রেরণ করা হবে। দোকান থেকে আবেদনের সময়ও এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন।
  8. আবেদন করার সময় পেমেন্ট মেথড হিসেবে offline বাছাই করুন। এতে করে সহজেই ব্যাংক চালান কিংবা অটোমেটিক ব্যাংক চালানের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। কোন কারণে আবেদনপত্র বাতিল হলে আপনি আগের চালান কপি ব্যবহার করেই পাসপোর্ট করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে দ্বিতীয়বার পেমেন্ট করতে হবে না।
  9. পেশা বাছাই করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। কেননা আপনি যে পেশাটি বাছাই করবেন সেটার সপক্ষে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এনরোলমেন্টের সময় দাখিল করতে হবে। কোন কারণে ব্যর্থ হলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে কিংবা রিওয়ার্কে চলে যেতে পারে। student হলে একাডেমিক সার্টিফিকেট, টেকনিক্যাল পার্সন হলে সংশ্লিষ্ট সনদপত্রের কপি প্রদান করতে হবে। Private সার্ভিস হলে কোম্পানিতে প্রফেশনাল ডকুমেন্ট প্রদান করতে হবে।
  10. ঠিকানা প্রদান করার সময় সব থেকে ভাল আইডিয়া হল বর্তমান এবং স্থায়ী দুইটার জন্যই একই ঠিকানার তথ্য প্রদান করা। এতে করে SB Police Verification এক জায়গায় হবে এবং আপনার পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুততর হবে। অন্যথায় ভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করলে উভয় জায়গায় আলাদা ভাবে পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে। ঠিকানার তথ্য পুরণ করার সময় এটা নিশ্চিত হয়ে নিন যে, আপনার উল্লেখিত ঠিকানার বিপরীতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস (বিদ্যু বিল কপি, ট্যাক্স কপি) আপনার নিকট রয়েছে।

পেমেন্টঃ

পাসপোর্ট আবেদন শেষে আপনাকে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে। আপনার পাসপোর্ট ডেলিভারির সময় এবং পাতার সংখ্যা বিবেচনায় পাসপোর্টের ফি নির্ধারিত হবে। পাসপোর্ট আবেদনের শেষের দিকে আপনি চাইলে অনলাইন এবং অফলাইন পেমেন্ট করতে পারেন। অনলাইনে পেমেন্টের আওতায় আপনাকে নির্দিষ্ট গেটওয়ের আন্ডারে পেমেন্ট করতে হবে এবং এরপর চালান কপি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে হবে। আবেদনের সময় সব থেকে বুদ্ধিমানের কাজ হল অফলাইন পেমেন্ট সিলেক্ট করা। এতে করে আপনি পেমেন্ট করা ছাড়াই আবেদন সম্পন্ন করে ফেলতে পারবেন। এরপর আপনি চাইলে ফিসিক্যালি ব্যাংকে গিয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন। ব্যাংক আপনার পেমেন্ট গ্রহণ করে আপনাকে চালান কপি প্রদান করবে। এছাড়াও আরও একটি পথ রয়েছে তা হল অফলাইন পেমেন্টের পর অটোমেটিক চালান সিস্টেম ওয়েবসাইট (https://ibas.finance.gov.bd/acs/general/sales) থেকে পেমেন্ট করা। এটিই সব থেকে জনপ্রিয় পদ্ধতি। এই সাইটে প্রবেশ করার পর পাসপোর্ট ফি বাছাই করুন এবং পাসপোর্টের ধরণ, সময়কাল বাছাই করুন। স্বয়নক্রিয়ভাবে আপনার পাসপোর্টের ফি সাইটে প্রদর্শিত হবে। এরপর ব্যক্তি থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মনিবন্ধন নাম্বার, জন্মতারিখ দিয়ে ভেরিফাই করে নিন। তথ্য পাওয়া গেলে মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্টের যেকোনটা আপনার সুবিধা অনুযায়ী বাছাই করে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন। এরপর আপনি ফিরতে মেসেজ চালান কপি পেয়ে যাবেন।

অফলাইন পেমেন্ট সাধারণত ৬মাস পর্যন্ত করা যায়। অর্থ্যাত আপনি পাসপোর্ট আবেদন করার পরে পেমেন্ট আগামী ৬মাসের মধ্যে করতে পারবেন। এতে কোন প্রকার সমস্যা নেই। সাধারণত আবেদন সামারিতে একটি এক্সপায়ার ডেইট থাকে। তাঁর আগে পেমেন্ট করলেই হয়।

পাসপোর্ট এনরোলমেন্টঃ

পাসপোর্টি অফিসে উপস্থিত হওয়াঃ

আবেদনের সময় আপনার যদি নির্দিষ্ট তারিখে সিডিউল/এপয়েন্টমেন্ট নেওয়া থাকে, তাহলে সেই তারিখেই আপনাকে আবেদন ফরম সহ অফিসে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সকল কাজ সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় সিডিউল নির্দিষ্ট না হলে রবি-বৃহঃ যেকোন দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জমা দিতে পারবেন। অফিসের কার্যক্রম শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে। এক্ষেত্রে আপনি সকাল ৮টা বা তাঁর আগে গিয়ে সিরিয়াল দিলে কাজ তাড়াতাড়ি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।

আবেদনপত্র জমা এবং ফিংগার, ছবি তোলা

পাসপোর্ট আবেদন এবং পেমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার পরবর্তী ধাপ হল Passport Enrollment। সহজ কথায় বলতে গেলে পাসপোর্ট আবেদন কপি এবং অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়া। সঠিকভাবে আবেদন করার পর আবেদন পত্রের কপি (Application Copy) এবং আবেদন সামারি (Application Summary) ফাইলটি পিডিএফ ফরমেটে ডাউনলোড করে নিন। পাসপোর্ট আবেদনের সময় পুরণকৃত সকল ডাটাসহ অন্যান্য আবেদন কপি, আবেদন সামারি এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হয়।

এনরোলমেন্ট দিনের কার্যাবলীঃ

  • আবেদন ফর্ম এবং অন্যান্য ডকুমেন্টের কপি স্ট্যাপলার করে লাইনে দাড়ানো
  • এইদিন-ই আপনার আবেদনপত্রসহ সব ডকুমেন্টস প্রাথমিক বাছাই শেষে গ্রহণ করা হবে।
  • পরবর্তী কাজ হবে আপনার নিজের ছবি তোলা এবং ফিংগারপ্রিন্ট দেওয়া। আবেদনপত্র গ্রহণ করার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার আপনাকে নির্দিষ্ট রুম নাম্বার দিয়ে দিবে। সেখানে গিয়ে ছবি তোলা এবং ফিংগারপ্রিন্ট দিতে হবে।
  • সব কাজ হয়ে গেলে একজন অফিসার আপনাকে সম্ভাব্য তারিখসহ একটি রিসিভ টোকেন/রশিদ প্রদান করবেন। রশিদটি অবশ্যই যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করতে হবে।

পাসপোর্টের এনরোলমেন্টের কাজ মূলত এতটুকুই। এরপর বাসায় ফিরে আপনি পাসপোর্টের Application ID এবং জন্ম তারিখ দিয়ে চেক করবেন আপনার আবেদনের স্ট্যাটাস পরিবর্তন হয়েছে কিনা। সাধারণত ২/৩ দিনের মধ্যেই পরিবর্তন হয়ে যায়।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস অথবা কাগজপত্রঃ

পাসপোর্টে আবেদনের সময় কোন প্রকার ডকুমেন্টস, ছবি কিন্তু স্ক্যানড কপির দরকার পড়ে না বা আপলোড করার প্রয়োজন পড়েনা। তবে আবেদনের পূর্বে এইগুলো রেডি করে রাখা ভাল এবং আবেদন এর মূহুর্তে এই সব ডকুমেন্টস থেকে তথ্যাবলি পূরণ করতে হয়। এতে করে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এইসব ডকুমেন্টস গুলো নিয়েই আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে এনরোলমেন্ট সম্পন্ন করার জন্য। কি কি ডকুমেন্টস লাগবে নিচে দেওয়া হলঃ

  1. আবেদন কপি (Application Copy)
  2. আবেদন সামারি (Application Summary)
  3. জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
  4. জন্মনিবন্ধন কপি (১৮-২০ বছরের জন্য প্রযোজ্য)
  5. 3R সাইজ ফটো ম্যাট প্রিন্ট করে নিয়ে যেতে হবে সাদা অথবা গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে (৬ বছরের কম বাচ্চাদের জন্য প্রযোজ্য)
  6. পিতার জাতীয় পরিচয়পত্র কপি
  7. মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র কপি
  8. নাগরিক সনদপত্র কপি (চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট)
  9. কাবিননামা কপি (বিবাহিত হলে) এবং ডিভোর্স হলে তালাকনামার কপি
  10. একাডেমিক সার্টিফিকেট কপি/আইডি কার্ডের ফটোকপি (স্টুডেন্ট হলে)
  11. চাকরির প্রমাণপত্র (প্রফেশনাল কিংবা প্রাইভেট সার্ভিস হলে)
  12. ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি
  13. টেকনিক্যাল পার্সনের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র কপি (ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার)
  14. NOC কপি(সরকারী চাকরিজীবি কিংবা কর্মকর্তার ক্ষেত্রে)
  15. ইলেকট্রিক বিল কপি অথবা গ্যাস বিল কপি

পুলিশ ভেরফিকেশন বা SB Police Verification

এটি একটি তথ্য যাচাইকরণ প্রক্রিয়া। এর আওতায় আপনার পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট হওয়ার কিছুদিন পর আপনার স্ট্যাটাস যখন Pending SB Police Verification শো করবে তখন, আপনার কাগজপত্র গুলো রেডি রাখুন। কেননা এই স্ট্যাটাস শো করার কিছুদিন পরেই একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আপনাকে ফোন দিবেন এবং আপনার কাছে কিছু তথ্য চাইবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে নিকটস্থ SB অফিস কিংবা থানায় যাওয়া লাগতে পারে। অনেক সময় পুলিশ স্বশরীরে এসে এসব ডকুমেন্টস নিয়ে যায়। এইটা ধাপটা অনেকটাই ভাগ্যের উপর নির্ভর করে কেননা অনেক সময় আবেদন থানায় আসতে দেরি হয় কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা গাফিলতি করে থাকেন। এতে করে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া মন্থর হয়ে যায়। এনরোলমেন্ট স্ট্যাটাস Pending SB Police Verification এ ১৫ এর বেশিদিন থাকলে আপনার নিকটস্থ থানা কিংবা SB অফিসে খোজ নিন। এছাড়াও আরো একটি কথা জানা জরুরি। তা হল পাসপোর্ট রিনিউ এর ক্ষেত্রে সাধারণত SB Police Verification লাগে না। লাগে যদি রিনিউয়ের সময় ঠিকানা পরিবর্তন করা হয়। পুলিশ ভেরিফিকেশ একটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদানকৃত সার্ভিস। কোনভাবেই কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে অর্থ প্রদান করবেন না।

পুলিশ ভেরিফিকেশনে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ

  1. নিজের NID (১৮ এর নিচের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন কপি)
  2. পিতার NID
  3. মাতার NID
  4. বৈদ্যুতিক বিলের কপি
  5. ট্যাক্স আদায় রশিদের কপি

তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আরো কিছু ডকুমেন্টস চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে ফোন পেলে, থানায় যাওয়ার পূর্বে কি কি ডকুমেন্টস সাথে নিতে হবে নিশ্চিত হয়ে জেনে নেওয়া জরুরি।

পাসপোর্ট গ্রহণ

পাসপোর্ট গ্রহণ একটি সহজতর প্রক্রিয়া। পাসপোর্ট গ্রহণ করার দিন সব থেকে ভাল হয় খুব সকালে চলে যাওয়া। যাওয়ার আগে অবশ্যই পাসপোর্ট রিসিভ স্লিপ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সাথে নিয়ে যেতে হবে। পাসপোর্ট গ্রহণ করার আগে আপনাকে সিরিয়াল নিয়ে লাইনে দাড়াতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপনাকে মাইকে ডাকবে। তারপর আপনার আঙুলের চাপ এবং সব তথ্যাদি যাচাই শেষে পাসপোর্ট আপনার নিকট হস্তান্তর করবেন।

পাসপোর্ট Rework এ আসলে করনীয়

পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ার সময় যদি আপনার পাসপোর্টের অবস্থা “Sent for Rework” দেখায়, এর অর্থ হলো আপনার আবেদনপত্রে কিছু ভুল বা অসম্পূর্ণতা, অসামঞ্জস্যতা রয়েছে, যার জন্য সংশোধন বা পুনরায় কাজ করা প্রয়োজন। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন:

“Sent for Rework” দেখানোর কারণগুলো:

  1. অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্য: আপনার আবেদনপত্রে ভুল তথ্য থাকতে পারে, যেমন নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, বা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য।
  2. প্রয়োজনীয় নথির ঘাটতি: আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সঠিকভাবে সংযুক্ত না করা হলে এটি হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ, ঠিকানা প্রমাণ ইত্যাদি নথি জমা না দেওয়া।
  3. আবেদন ফর্মে ভুল ফিল্ড পূরণ করা: অনলাইন বা ম্যানুয়াল ফর্ম পূরণের সময় কোনো ফিল্ড সঠিকভাবে পূরণ না হলে “Rework” প্রয়োজন হতে পারে।
  4. বায়োমেট্রিক বা ছবি সংক্রান্ত সমস্যা: ছবি বা বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙুলের ছাপ) সঠিকভাবে নেয়া না হলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  5. পুলিশ ভেরিফিকেশন বা অন্যান্য যাচাইকরণের সমস্যা: যদি পুলিশ ভেরিফিকেশনে কোনো সমস্যা থাকে, যেমন ঠিকানা মেলে না বা ভেরিফিকেশন রিপোর্টে অসংগতি থাকে, তাহলে পাসপোর্ট আবেদনটি “Rework” এ যেতে পারে।
  6. ফি সংক্রান্ত কোনো সমস্যা: পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার সময় কোনো ত্রুটি থাকলে বা সঠিকভাবে জমা না হলে আবেদনটি “Rework” এ পাঠানো হতে পারে।

কিছু কমন প্রশ্ন এবং উত্তর

  1. প্রশ্নঃ সকাল কয়টায় পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে?
    উত্তরঃ সাধারণত পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে। এর আগেই যাওয়া ভাল। কেননা ফাইল জমা অথবা পাসপোর্ট রিসিভ করার ক্ষেত্রে একটি সিরিয়াল নিতে হয়। তাই যত সকালে যাওয়া যায় ততই ভাল।
  2. প্রশ্নঃ পাসপোর্ট পুলিস ভেরিফিকেশন-এ কোন প্রকার ফি প্রদান করতে হয়?
    উত্তরঃ SB Police Verification এ কোন প্রকার অর্থ বা ফি প্রদান করতে হয় না। এক্ষেত্রে কোন পুলিস অফিসার যদি অর্থ দাবি করে তাহলে hello sb এপের মাধ্যমে অভিযোগ দিন
  3. প্রশ্নঃ পিতা অথবা মাতা বা উভয় মৃত হলে কি করতে হবে?
    উত্তরঃ কোন কারণে পিতা কিংবা মাতা বা উভয় মারা গেলে তাদের মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হবে। আপনার এলাকার ইউনিয়ন অফিস কিংবা পৌরসভা অফিস থেকে এটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
  4. প্রশ্নঃ অফলাইনে পেমেন্ট করেছি কিন্তু আবেদন ভুল হওয়া বাতিল হয়েছে। সেক্ষেত্রে একই চালান কপি পরবর্তীতে ব্যবহার করতে পারব?
    উত্তরঃ হ্যাঁ অফলাইনে পেমেন্ট করলে যদি কোন কারণে আবেদনপত্র বাতিল হয় তাহলে পুনরায় আবেদন করতে হয়। তখন আগের চালান কপিই ব্যবহার করতে পারবেন।
  5. প্রশ্নঃ অনেকদিন ধরে Passport Shipped শো করছে, সেক্ষেত্রে কি পাসপোর্ট পাব?
    উত্তরঃ অনেক সময় পাসপোর্ট প্রিন্ট হওয়ার পর অফিসে পৌছানোর পর তার স্ট্যাটাস আপডেট করা হয় না। সেক্ষেত্রে Passport Shipped স্ট্যাটাস ১০দিনের বেশিদিন ধরে প্রদর্শন করলে পাসপোর্ট স্লিপ এবং জাতীয় পরিচয়পত্রসহ চলে যান পাসপোর্ট অফিসে। কপাল ভাল থাকলে পেয়ে যাবেন কাঙ্খিত পাসপোর্ট।
  6. প্রশ্নঃ আমার বাচ্চা স্কুলে পড়ে, তাঁর জন্য কি প্রত্যয়নপত্র দিতে হবে?
    উত্তরঃ প্রত্যয়নপত্র অনেক পাসপোর্ট অফিসে চাওয়া হয়। সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট ডকুমেন্টস এর সাথে প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করতে হবে।

পাসপোর্ট এর প্রযোজ্য মূল্য তালিকাঃ

পাসপোর্টের ধরন ডেলিভারি অপশন ডেলিভারি সময় মূল্য (টাকা)
৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট (৫ বছর বৈধতা) নিয়মিত ডেলিভারি ২১ দিনের মধ্যে ৪,০২৫ টাকা
এক্সপ্রেস ডেলিভারি ১০ দিনের মধ্যে ৬,৩২৫ টাকা
সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি ২ দিনের মধ্যে ৮,৬২৫ টাকা
৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট (১০ বছর বৈধতা) নিয়মিত ডেলিভারি ২১ দিনের মধ্যে ৫,৭৫০ টাকা
এক্সপ্রেস ডেলিভারি ১০ দিনের মধ্যে ৮,০৫০ টাকা
সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি ২ দিনের মধ্যে ১০,৩৫০ টাকা
৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট (৫ বছর বৈধতা) নিয়মিত ডেলিভারি ২১ দিনের মধ্যে ৬,৩২৫ টাকা
এক্সপ্রেস ডেলিভারি ১০ দিনের মধ্যে ৮,৬২৫ টাকা
সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি ২ দিনের মধ্যে ১২,০৭৫ টাকা
৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট (১০ বছর বৈধতা) নিয়মিত ডেলিভারি ২১ দিনের মধ্যে ৮,০৫০ টাকা
এক্সপ্রেস ডেলিভারি ১০ দিনের মধ্যে ১০,৩৫০ টাকা
সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি ২ দিনের মধ্যে ১৩,৮০০ টাকা

পাসপোর্ট আবেদনের বিভিন্ন স্ট্যাটাস এবং এর ব্যাখ্যাঃ

# স্ট্যাটাস বর্ণনা সময়সীমা
1 Submitted (সাবমিটেড) আবেদনটি সফলভাবে পাসপোর্ট অফিসের সার্ভারে জমা হয়েছে। -
2 Appointment Schedule (অ্যাপোয়েন্টমেন্ট সিডিউল) সাক্ষাতের সময়সূচি নির্ধারণ সম্পূর্ণ হয়েছে। -
3 Enrolment In Process (এনরোলমেন্ট ইন প্রসেস) আবেদনটি পাসপোর্ট অফিসে জমা হয়েছে এবং সেটি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে। ০৩-১০ দিন
4 Pending Backend Verification (পেন্ডিং ব্যাকেন্ড ভেরিফিকেশন) এই স্ট্যাটাসটি সাধারণত ০২-০৩ দিনে পরিবর্তন হবে। যদি না হয় তাহলে বুঝবেন আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্টের সাথে বর্তমান আবেদনকৃত পাসপোর্টের তথ্যের অমিল রয়েছে। তথ্যের অমিল থাকলে সেক্ষেত্রে AD (Assistant Director) এর সাথে যোগাযোগ করে সমাধান করতে হবে। ০২-০৩ দিন
5 Pending SB Police Clearance (পেন্ডিং এসবি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স) আবেদনটি নিকটতম থানায় পুলিশ তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং পুলিশ রিপোর্টের জন্য অপেক্ষায় আছে ০৩-১০ দিন
6 Sent for Rework (সেন্ট ফর রিওয়ার্ক) NID বা জন্ম সনদের সাথে ই-পাসপোর্টের তথ্যের অমিল রয়েছে অথবা পুলিশ ভেরিফিকেশন অসন্তোষজনক। সেক্ষেত্রে AD এর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে অথবা পুনরায় পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আবেদন করতে হবে। -
7 Pending Final Approval (পেন্ডিং ফাইনাল এ্যাপ্রুভাল) পুলিশ তদন্ত রিপোর্ট সন্তোষজনক এবং AD এর অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। ০১-০৪ দিন
8 Approved (এ্যাপ্রুভড) AD পাসপোর্ট প্রিন্টের জন্য অনুমোদন করেছেন। ০১-০৩ দিন
9 Pending In Print Queue (পেন্ডিং ইন প্রিন্ট কিউ) পাসপোর্ট প্রিন্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। ০৩-১৪ দিন
10 Passport Shipped (পাসপোর্ট শিপড) পাসপোর্টটি সফলভাবে প্রিন্ট হয়েছে এবং আঞ্চলিক অফিসে পাঠানো হয়েছে ০১-০৩ দিন
11 Passport Ready for Issuance (পাসপোর্ট রেডি ফর ইস্যুয়্যান্স) পাসপোর্টটি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এসে পৌঁছেছে, পাসপোর্টটি এসে নিয়ে যেতে পারেন। -
12 Passport Issued (পাসপোর্ট ইস্যুড) পাসপোর্টটি সফলভাবে বিতরণ করা হয়েছে। -

About

Passport guideline a to z in bangla for e-passport application process in Bangladesh . পাসপোর্ট কিভাবে করব?

Topics

Resources

Stars

Watchers

Forks

Releases

No releases published